ট্রাকের নিচে স্কুলছাত্র রাশেদুল ইসলাম

কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। তবে এক ঘণ্টার বেশি সময় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে থাকা মহেশখালীর স্কুলছাত্র রাশেদুল ইসলাম (১৩) অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে। তার বাবা আবুল হাসেমও আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

শনিবার (৬ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কলাতলী মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত রাশেদুল ইসলাম বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পানিরছড়া হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। 

নিহতরা হলেন- কলাতলীর চন্দ্রিমা এলাকার মৃত লাছ মিয়ার স্ত্রী মহুনা বেগম (৬৫) ও ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন। 

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাশেদুলকে ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। তবে তখনও তার চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ। 

সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা রাশেদুল ট্রাকের ধাক্কায় সঙ্গে সঙ্গে নিচে পড়ে যায়। এ সময় তার দুই পা ট্রাকের চাকায় পৃষ্ঠ হয়। দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে সেখানে চাপা পড়েছিল সে।

আহত রাশেদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানায়, পেটের অপারেশন শেষে বাবা আবুল হাসেমের সঙ্গে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে ফিরছিল সে। রাত ১১টার দিকে তাদের বাস কলাতলী মোড়ে এসে দাঁড়ায়। তারা বাস থেকে নেমেই সিএনজিতে উঠে বসে। সেই মুহূর্তে একটি ট্রাক পেছন থেকে এসে সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে রাশেদুল ও তার বাবা। 

খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসা রাশেদুলের মামাতো ভাই নিয়াজ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়ি থেকে ফোন পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থল ও পরে হাসপাতালে এসে তাদের খুঁজে পাই। রাশেদুলের পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। তার বাবাও খুবই আহত। রাশেদুলের ইতোমধ্যে একটি অপারেশন হয়েছে। তারপরও আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এর জন্য শুকরিয়া।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাশেদুলের পা দুটি চাকার নিচে চাপা ছিল। সিমেন্ট থাকায় তাকে উদ্ধার করতে সময় লেগেছে। তবে ছেলেটা সাহসী। মনোবল হারায়নি,  তাই হয়তো আমরা তাকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/আরএআর