শরীয়তপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে মাছের ঘের করার প্রতিবাদে মানববন্ধন 

বাপ দাদার আমল থেকে চাষ করি। ৬ বছর আগে চাষ করতে গিয়ে পাওয়ার টিলারের নিচে পা চলে যায়। পরে আমার একটি পা কেটে ফেলে দেন চিকিৎসকরা। আজ সেই জমিতে চাষ করতে পারব না। মাছের ঘেরের জন্য খাল বন্ধ করলে জমিতে পানি জমে যাবে। এতে ফসল হবে না। কথাগুলো বলছিলেন ডামুড্যার দিকশুল গ্রামের এক পা হারানো কৃষক খোরশেদ খা।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ডামুড্যার শিধলকুড়া ইউনিয়নের দিকশুল গ্রামের প্রভাবশালী একটি মহল তিন ফসলি জমির মাটি কেটে মাছের ঘের করছে। পাশের খালটিও মাটি দিয়ে ভরাট করার অভিযোগ করছেন কৃষকরা। খাল বন্ধের প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন স্থানীয় কয়েকশ কৃষক।

খোরশেদ বলেন, এই খালটি বাপ দাদার আমল থেকে দেখে আসছি। খালটি বন্ধ করলে কৃষি জমিতে পানি জমে  থাকবে। আবার শুকনো মৌসুমে আমরা পানি পাব না। এতে আমরা মাঠে মারা যাব।

কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে মাহাবুব মিঝি, রতন হাওলাদার, ফারুক সরদার উপজেলার দিকশুল মৌজায় প্রায় ১০ কানি তিন ফসলি জমির ওপর মাছের ঘের করছেন। মাছের ঘেরের পাশেই খালে বাঁধ দিয়ে পূর্বপাশে পাড় দেওয়া হচ্ছে। এতে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে পুরো খাল পানিশূন্য হয়ে পড়েছে।

কৃষক এনায়েত ও বাবুল সরদার বলেন, নিজের জমিতে মাহবুব, রতনরা যা করছে তাতে আমরা বাধা দিতে পারব না।কিন্তু খাল বন্ধ করলে আমরা পুরা শেষ। এই খালে ৫-৬ বিলের পানি জমা হয়।

জমির মালিক রতন হালদার বলেন, যারা মানববন্ধন করছে তাদের বিলে কোনো জমি নেই। আর যে খালের কথা বলছে সেটা কখনো খাল ছিল না। আমরা এক সময় পানি বের হওয়ার জন্য জমিটি দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের প্রয়োজন তাই ভরাট করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিষয়টি জেনে পরবর্তীতে ব্যবস্থ নেওয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি