মিজানুর রহমান বাদল

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে (৪৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বাদলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন। 

তিনি বলেন, মিজানুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতার মিজানুর রহমান বাদল উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর ছেলে।

এর আগে বিকেলে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ বাদলকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। তবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মুহাম্মদ আবু হুসাইন খান বিষয়টি অস্বীকার করেন। 

বাদলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার কাকলি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরে মিজানুর রহমান বাদল জেলা শহর মাইজদী যান। বিকেলে একদল সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে। 

মিজানুর রহমান বাদলের সঙ্গে থাকা চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ঢাকা পোস্টকে জানান, মিজানুর রহমান বাদল এবং তিনি বিকেলে প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ বাদলকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান। 

এরপর ৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে কাদের মির্জা ও বাদল সমর্থকদের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নামে এক যুবলীগ কর্মী মারা যান। এরপর থেকে কোম্পানীগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে । 

হাসিব আল আমিন/আরএআর