বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে রহস্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনায় গত আট দিনে লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরগাজী ও চররমিজ ইউনিয়নের সাত জেলে মারা গেছেন। সর্বশেষ শুক্রবার (১২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে মো. মিরাজ নামে অগ্নিদগ্ধ এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। 

মৃত মো. মিরাজ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। একে একে সাত জেলের মৃত্যুতে স্বজনদের বাড়িতে বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

মৃত অন্যরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর গ্রামের বেলাল হোসেন (২৮), মো. মেহেরাজ হোসেন (২৬), চরলক্ষ্মী গ্রামের মো. মিলন (৩০), চররমিজ ইউনিয়নের চর গোসাই গ্রামের আবুল কাশেম (৫৫), মো. রিপন মাঝি (৩৮) ও মিরাজ উদ্দিন মাঝি।

জানা গেছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারে রহস্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনায় ২১ জন আহত হয়। এরমধ্যে ১২ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর ১১ জনকে ২ মার্চ ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মো. মেহরাজ নামে একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। বাকি ১০ জনের মধ্যে গত শুক্রবার রাতে দুই, শনিবার বিকেলে এক, সোমবার বিকেলে এক, মঙ্গলবার রাতে এক, বুধবার বিকেলে এক ও শুক্রবার রাতে এক জেলের মৃত্যু হয়। 

চিকিৎসাধীন আরও তিন জেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন- চরলক্ষ্মী গ্রামের মো. আলাউদ্দিন, মো. সাহাবউদ্দিন, আবু জাহের। নিহত ও আহত জেলেদের বাড়ি রামগতি উপজেলার চরগাজী ও চররমিজ ইউনিয়নে।

রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাওহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিরাজ নামে আরও এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে সাত জন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও তিন জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/ওএফ