মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুলতানা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে সুলতানার শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন তার বাবার বাড়ির লোকজন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ওয়াজকুরুনী মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সুলতানা চর বাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের মিছির আলীর মেয়ে।

জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ সুলতানার স্বামী ওয়াজকুরনী মুদি দোকানদার। দুপুর দেড়টার পানি তোলার মটর চালু করতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। ট্যাংক উপচে পানি পড়তে দেখে পাশের বাড়ির লোকজন তাকে ডাকতে এসে দেখেন সুলতানা মাটিতে পড়ে আছেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে সুলতানাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এদিকে খবর পেয়ে সুলতানার বাবার বাড়ির লোকজন ওয়াজকুরুনীর বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তারা আলমারি, ফ্রিজ, শোকেসসহ নানা আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।

নিহত গৃহবধূ সুলতানা আক্তার উপজেলার টেঙ্গাচর ইউনিয়নের মধ্যে ভাটেরচর গ্রামের ওয়াজকুরুনী মোল্লার স্ত্রী ও চরবাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের মিছির আলীর মেয়ে বলে জানা গেছে।

তবে ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দাবি করে নিহতের বাবা মিসির আলী জানান, চার বছর আগে পারিবারিকভাবে উপজেলার মধ্য ভাটেরচর গ্রামের মফিজ মোল্লার ছেলে ওয়াজকুরুনী মোল্লার সাথে তার মেয়ের সুলতানের বিয়ে দেন। তাদের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী ওয়াজকুরনী তার মেয়ের ওপর নির্যাতন করত। মারধরের ঘটনায় একাধিকবার ঘরোয়া শালিস হয়েছে। তাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। 

তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার সময় বাড়ি ফাঁকা ছিল। এ সুযোগে ওয়াজকুরনী তার মেয়েকে হত্যা করেছে।

এবিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন জানান, নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের স্বার্থে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

ব.ম শামীম/ওএফ