বালেন্দা গ্রামে ১০০ বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর’ প্রতিকৃতির সঙ্গে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে বালেন্দা গ্রাম।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কৃষকের বন্ধু। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে জয়লাভ করে কৃষি ও সমবায়বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ছিলেন জনতার নেতা। তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এই শস্যচিত্র। যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেতে যাচ্ছে। দেশের মানুষ তাকে আজও হৃদয়ে লালন করেন।

শনিবার ‘শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরের বালেন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান সাহীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বগুড়া-৫ আসনের এমপি হাবিবর রহমান, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি তানভীর শাকিল জয় ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। 

গত মঙ্গলবার শেরপুর উপজেলায় ১০০ বিঘা আয়তনের ধানক্ষেতে ফুটিয়ে তোলা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ পরিদর্শন করেছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিনিধিদল।

পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানিয়েছেন, শস্যক্ষেতের বিশাল ‘ক্যানভাসে’ ফুটিয়ে তোলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নান্দনিক প্রতিকৃতিটি বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি মিলবে।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ চিত্রকর্মটির আয়োতন ১০০ বিঘা অথবা ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। ২০১৯ সালে চীনের ফসলের মাঠে তৈরি চিত্রকর্মের আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এএম