নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ভবন মালিকের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মো. জামান কাজলের মরদেহ নিয়ে রেস্তোরাঁর সামনে বিক্ষোভ করেছেন তার সহকর্মীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের নবাব সলিমুল্লাহ রোড ও বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের বাগে জান্নাত এলাকায় মরদেহ পৌঁছায়। পরে মরদেহ নিয়ে অভিযুক্ত আজহারসহ দোষীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়।

সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্তোরাঁর কর্মচারী ইব্রাহিম বলেন, আমাদের ম্যানেজার কাজল ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। ঘটনার দিন কাজল ভাই এমন কিছু করেননি যে তাকে গুলি করতে হবে। তার কোনো দোষ ছিল না। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. জামান কাজল মারা যান। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের শাহ আলমের ছেলে। তিনি বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন।

প্রসঙ্গত, শহরের চাষাঢ়ায় নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের আঙ্গুরা প্লাজার নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার একাংশ ভাড়া নিয়ে শুক্কুর আলী সুলতান ভাই কাচ্চি রেস্তোরাঁ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। রেস্তোরাঁটির ভাড়া নিতেন আজহার তালুকদারের ছোট ভাই আজিজুল হক তালুকদার। তবে পানির বিল নিতেন আজহার তালুকদার। সেদিন পানির বিল নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে তিনি মো. জামান কাজলকে  প্রকাশ্যে গুলি করেন। আজহার তালুকদারের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন এক নারীসহ পাঁচজন। এর মধ্যে কাজলের অবস্থা গুরুতর ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান কাজল।

আবির শিকদার/আরএআর