মনিরুজ্জামান

টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক নারীকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করেন সাবেক স্বামী। পরে মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। 

ঘটনার দেড় বছর পর সাবেক স্বামী মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রোববার (১৪ মার্চ) আদালতে জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন মনিরুজ্জামান। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিকেলে টাঙ্গাইল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলার নেকিপাড়া গ্রামের ওই নারী ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। দুদিন পর বাড়ির উত্তর পাশের ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর তার বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে মধুপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। পরে পিবিআইকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই নারীর সাবেক স্বামী মনিরুজ্জামান হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পিবিআই। শনিবার মনিরুজ্জামানকে ধনবাড়ি উপজেলার কান্দিপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মনিরুজ্জামান ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। রোববার টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সিরাজ আমীন বলেন, জবানবন্দিতে মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন; তার সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। ফলে বিচ্ছেদ ঘটে।

এরপর মনিরুজ্জামান আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। তখন সাবেক স্ত্রী জানান স্ত্রীকে তালাক দিলে আবার বিয়ে করবেন। তার কথামতো দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন মনিরুজ্জামান। 

কয়েক দিন পর সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। দ্বিতীয়বার ধর্ষণের চেষ্টা করলে বাধা দেন ওই নারী। তখন গলা চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মারা যান। ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে ওই নারীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান মনিরুজ্জামান। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মনিরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার সিরাজ আমীন।

অভিজিৎ ঘোষ/এএম