কুড়িগ্রামের যাত্রাপুরে বাঁধাকপি ও ফুলকপির জোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এমনি চিত্র দেখা গেছে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর হাটে। এখানে প্রতি পিচ বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন চাষিরা।

কুড়িগ্রাম থেকে বিভিন্ন প্রকার আবাদি সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যায়। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় বিভিন্ন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমি। তবে অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে।

এ বিষয়ে যাত্রাপুর হাটে সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের চৈতের খামার গ্রামের জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের কথা হয়। তিনি বলেন, জমি থেকে তুলে প্রায় সাড়ে ৪শ বাঁধাকপি বিক্রি করতে আনছি এই হাটে। দাম দিয়েছি প্রতি পিস পাঁচ টাকা তাও ক্রেতা সংকট। আমরা এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির আবাদ করছি। বাজারে প্রচুর আমদানি থাকার কারণে বিক্রি হচ্ছে না। পরে যে কী হবে বলা মুশকিল।

কাশেম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এক কৃষকের ফুলকপির খেত কিনেছি। ১ হাজার ফুলকপি নিয়ে আসছি হাটে ক্রেতা একেবারে কম। জোড়া ১০ টাকা করে দিয়েছি তাও কাস্টমার কম। শেষের দিকে মনে হয় ৩টা ১০ টাকা করে বিক্রি করতে হবে। তারপরেও যে কী হবে বলা যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, জেলায় এবার বিভিন্ন শাক-সবজি প্রায় ৭ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে। যেকোনো সবজির আমদানি বেশি থাকায় দামটা একটু কমে গেছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির বেলাও তাই হচ্ছে। তারা যদি স্থানীয় বাজারে বিক্রি না করে বাইরে বিক্রি করতো তাহলে দাম এতো কম হতো না। এছাড়া মৌসুমের শেষের দিকে মানুষ কম খেতে চাচ্ছে।

জুয়েল রানা/আরকে