ওই নারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন কয়েকজন যুবক

কুষ্টিয়া শহরে রাস্তার পাশে পড়ে ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত এক নারী (৫০)। তার হাঁটুর বেশিরভাগ অংশ পচে গেছে। শরীরে মাছি বসছে। দুর্গন্ধে তার আশপাশে কেউ দাঁড়াতে পারছে না। এ অবস্থায় এগিয়ে গেলেন কয়েকজন যুবক। গোসল করিয়ে, খাবার খাইয়ে ওই নারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তারা।

১২ মার্চ শহরের পৌর গোরস্থানের সাইকেলস্ট্যান্ড থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন ‘মানুষ মানুষের জন্য’ সংগঠনের পরিচালক শাহাবউদ্দিন মিলন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। 

শাহাবউদ্দিন মিলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাস্তার পাশে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিলেন ওই নারী। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। গোসল করানো, খাওয়ানো এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি আমরা। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় আছেন।

স্থানীয়রা জানায়, ওই নারী হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের পাশের ডাস্টবিন থেকে খাবার খেতেন। অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকায় হাঁটুর বেশিরভাগ অংশ পচে গেছে তার।

অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকায় হাঁটুর বেশিরভাগ অংশ পচে গেছে তার

শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, যেভাবে পচন ধরেছে; তার পা কেটে ফেলা লাগত। নাব্বির, ইদ্রিস, শাহিন ও জনি বৃদ্ধা মাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ছিল রমজান নামের আরেক ভাই। তার সাহায্যে বৃদ্ধা মাকে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এখন এই মায়ের চিকিৎসা চলছে। জনি, রমজান ও সোহেল তার দেখাশোনা করছেন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর পায়ে ঘা হয়ে পচে গেছে। রাস্তার পাশ থেকে কিছু মানুষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার চিকিৎসা চলছে। তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। কীভাবে তিনি শহরে এসেছেন তাও বলতে পারছেন না।

রাজু আহমেদ/এএম