প্রতিটি ছবিই কথা বলে ইতিহাসের
প্রতিটি ছবিই যেন জীবন্ত, কথা বলে ফেলে আসা ইতিহাসের। আনমনে কখনো ভাবায়, সূক্ষ্ম অনুভূতিকেও স্পন্দিত করে ভীষণভাবে। কিছু ছবি আবার হৃদয়ে সৃষ্টি করে গভীর ক্ষত। এমন কিছু ঐতিহাসিক ও দুর্লভ ছবিতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহের টাউনহল প্রাঙ্গণে ১৫ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সিটি করপোরেশন। যার মাধ্যমে জাতির পিতার ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো দেখতে পাচ্ছে নতুন প্রজন্ম।
বিজ্ঞাপন
আনিকা তাবাসসুম বুশরা নামে এক তরুণী বলেন, এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে একটি বিস্তৃতি ধারণা পাচ্ছি। এখানে অনেক দুর্লভ ছবি ও সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখা আছে। এর মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে অনেক কিছু জানতে পারছি।
‘এখানে বঙ্গবন্ধুর অনেকগুলো ছবি দেখেছি। যা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তার আদর্শ ধারণ করেই আমি আমার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’ বলেন প্রদর্শনীতে আসা এক স্কুলছাত্র।
বিজ্ঞাপন
প্রদর্শনী ঘুরে দেখা গেছে, এখানে বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক আনন্দঘন মুহূর্তের ছবিও যেমন আছে, তেমনি রয়েছে আন্দোলন-সংগ্রামের দিনগুলোর ছবিও। কখনো তিনি বক্তৃতামঞ্চে তর্জনী উঁচিয়ে ভাষণরত, কখনো রাজনৈতিক নেতা ও সতীর্থদের সঙ্গে বৈঠকরত আবার কখনো গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার মুহূর্ত। এভাবে প্রতিটি ছবিই যেন জীবন্ত হয়ে কথা বলছে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ না করলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। এই ইতিহাসটুকু নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে জাতির পিতার গৌরবোজ্জ্বল ও ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাতে করে তারা ইতিহাসকে জানতে পারে ও সমৃদ্ধ হয়।
মসিক সূত্র জানায়, গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ ১৩০টি আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিশালাকৃতির এলইডি স্ক্রিনে প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
উবায়দুল হক/এমএসআর