বরিশালের হিজলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দলীয় কার্যালয় এলাকার ক্ষুন্না বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া নেতাকে এবার আওয়ামী লীগের সমর্থন দেওয়া নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভীর উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান তালুকদার গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছেন।

আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ছিলেন তিনি। তার কারণে দলের অনেক নেতাকর্মী মারধরের শিকার হন। এজন্য শাহজাহান তালুকদারকে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন না দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান তালুকদারের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আরিফ হোসেন তানভীরের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপ ও শাহজাহান তালুকদারের ছেলে আরিফ হোসেনের গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর বলেন, গত নির্বাচনে শাহজাহান তালুকদার আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে আনারস মার্কার পক্ষে নির্বাচন করেন। এসব কথা বলায় শাহজাহানের ছেলে আরিফ আমাদের ওপর চড়াও হন।

আরিফকে মারধর করেছেন এমন প্রশ্নের বিষয় এড়িয়ে গিয়ে তানভীর বলেন, বাগবিতণ্ডার খবর ছড়িয়ে পড়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। কিন্তু হামলা কিংবা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেনি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান তালুকদার বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিশৃঙ্খলা করেছেন। তিনি আমার ছেলের ওপর হামলা চালিয়েছেন। গুয়াবাড়িতে যেন আওয়মী লীগ বিজয়ী হতে না পারে সেজন্য ছাত্রলীগের ওই নেতা ঝামেলা করছেন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএম