সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের নেতারা

পানিবণ্টন চুক্তি ও তিস্তা নিয়ে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবি আদায়ে ২৩০ কিলোমিটার জুড়ে স্তব্ধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। বুধবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে তিস্তা নদীর দুই পারের হাট-বাজার ও বন্দরে দোকানপাট বন্ধ রেখে ১০ মিনিটের স্তব্ধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে রংপুর নগরের রাজা রামমোহন ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে স্তব্ধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী। 

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। আমরা চাই তার এই ঐতিহাসিক সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন হোক। এই মাহেন্দ্রক্ষণে উদ্বোধন করতে হবে তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার বিষয়ক মহাপরিকল্পনার কাজ।

দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা চুক্তি সই না হওয়ায় উত্তরের দুই কোটি মানুষ খরা ও বন্যায় নিষ্পেষিত হয়েছে দাবি করে নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষদের বাঁচাতে তিস্তা চুক্তি সই এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারাবছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখা, ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, কৃষক সমবায় ও কৃষিভিত্তক শিল্প কারখানা, তিস্তার শাখা প্রশাখা ও উপশাখার আগের অবস্থায় সংযোগ স্থাপন এবং দখল ও দূষণমুক্ত করে নৌ চলাচল চালুর ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে কৃষি নির্ভর এই জনপদ মরুভূমিতে পরিণত হবে। হুমকির মুখে পড়েছে এখানকার কৃষি, পরিবেশ, প্রকৃতি ও জীবনরেখা। 

সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাফিয়ার রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ড. তুহিন ওয়াদুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে এক লাখ মানুষের স্বাক্ষর সংবলিত ছয় দফা দাবি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর