অগ্নিদগ্ধ শারমিন হাসপাতালে শুয়ে কাতরাচ্ছেন

গাইবান্ধায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শারমিন বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূকে ম্যাক্সিতে আগুন দিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূর শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ঝলসে গেছে শরীরের বেশ কিছু অংশ।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলের বাজার এলাকায়। অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ একই এলাকার শফিউল ইসলামের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে কোরবান আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় শারমিনের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে তার ওপর নির্যাতন করত স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। কারণে-অকারণে তাকে মারপিট করত। 

মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আবারও নির্যাতন শুরু করে স্বামী ও শাশুড়ি কুলসুম বেগম। এক পর্যায়ে স্বামী উত্তেজিত হয়ে গ্যাস লাইটার দিয়ে শারমিনের ম্যাক্সিতে আগুন লাগিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এতে তার শরীরের বেশির ভাগ (৫০ শতাংশ) অংশ পুড়ে যায়।

গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শারমিনকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা।

গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সদর উপজেলার কাবিলের বাজার এলাকায় গৃহবধূর শরীরে আগুন দেওয়ার কথা শুনেছি। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিপন আকন্দ/এসপি