সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হ্যান্ডকাফসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি পালানোর ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। শনিবার (২৭ মে) রাতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযানে অংশ নেওয়া ৬ পুলিশ সদস্যকে সদর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া এই ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

রোববার (২৮ মে) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রোকনুজ্জামান সরকারকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব, জালাল উদ্দীন, এসআই নাসির উদ্দীন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নয়ন কৃষ্ণ হোড়, এএসআই আব্দুল কাদের ও কনস্টেবল আনসার আলী। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৪ মে রাতে একটি মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত মাসুদ রানা নামে ওই আসামিকে বিজিবির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় আনার পর গ্রেপ্তার আসামির মোবাইলে হেরোইনের ছবি দেখা যায়। পরে তকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গম চরাঞ্চল সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি বিশেষ দল। অভিযানে গিয়ে গ্রেপ্তার আসামির দেখানো মতো কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। 

আরও পড়ুন : পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে হাতকড়া নিয়ে ভারত পালিয়েছে মাসুদ

অভিযানের সময় মাসুদের দুই হাতে একটি হ্যান্ডকাফ লাগানো ছিল। ফেরার পথে পুলিশ সদস্যদের ধাক্কা দিয়ে মাসুদ হ্যান্ডকাফ নিয়েই দৌড়ে অন্ধকারের মধ্যে হারিয়ে যান। এরপর পুলিশ পিছু নিলেও তাকে ধরতে পারেনি। এ ঘটনার পর পুলিশ গত ৪ দিন ধরে অভিযান পরিচালনা করলেও পলাতক মাসুদ রানাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের ধারনা মাসুদ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়েছেন। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সদর মডেল থানার মোট ছয় পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। 

জাহাঙ্গীর আলম/আরকে