সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনার সাঁথিয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত নাজির উদ্দিন (৩৭) দয়রামপুর গ্রামের ইলবাজ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল কবির শশি ও তাজমুল হোসেন মেম্বার পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি শশি গ্রুপের জসিম উদ্দিন নামের একজনকে মারপিট করেন তাজমুল গ্রুপের লোকজন।

হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে জসিম উদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় নাজিরসহ অন্য ছাত্রলীগ নেতারা শশির বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

বিষয়টি জানতে পেরে তাজমুল মেম্বার ও তার লোকজন দুপুরে ওই বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে নাজির ও তাজমুল মেম্বারসহ অন্তত দশজন আহত হন।

তাদের উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাজির উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে সুমন হোসেন, নাছির উদ্দিন, ইলবাজ প্রামাণিক, রাজা হোসেন, জোলেকা খাতুন, তাজমুল মেম্বারকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ছয়জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

মহদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা দায়ের হলে আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

রাকিব হাসনাত/এমএসআর