মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল গ্রামের ২০ মণ ওজনের টঙ্গিবাড়ীর ডনকে এবার কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ডনকে বড় করে তোলা হয়েছে। লাল রঙের শাহীওয়াল জাতের এর গরুটি দেখতে অনেকটা ডনের মতোই।

জেলার বিভিন্নস্থান থেকে গরু ব্যবসায়ীরা এসে গরুটির দরদাম করছেন। তবে গরুর মালিক আশায় আছেন দাম ভালো পেলেই তিনি ডনকে তুলে দেবেন ক্রেতার হাতে। 

বেশ যত্ন করে গড়ে তোলা বিশাল আকৃতি গরুটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। গত বছর কোরবানির হাট থেকে শাহীওয়াল জাতের এ গরুটি কিনে আনেন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের পূর্ব হাসাইল গ্রামের আসলাম ছৈয়াল। 

তিনি গরুটিকে একটি ঘরের মধ্যে রেখে এক বছর ধরে লালন-পালন করেছেন। মাঝে মধ্যে গরুটিকে বাইরে নিয়ে এলে স্থানীয়রা দেখতে আসে। অনেকে ছবি তুলে ফেসবুকে ছাড়েন। পরে ফেসবুকে ডনকে দেখে অনেকেই ডনের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। 

টঙ্গিবাড়ীর ডনকে কিনতে আসা অনেকের দাবি, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু এটি। গরুটির মালিক আসলামের দাবি, সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে ডনকে। 

তিনি বলেন, খেতের ঘাস, ছোলা, ভূষি খাইয়েছে ডনকে। কোনো কৃত্রিম ইনজেকশন কিংবা মোটতাজাকরণ ট্যাবলেড খাওয়ানো হয়নি ডনকে। ফেসবুকের মাধ্যমে ‘টঙ্গিবাড়ীর ডন’-এর খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেক ক্রেতা অনলাইনের মাধ্যমে দরদাম করছেন বলে জানান আসলাম ছৈয়াল।

তিনি বলেন, ৫ লাখ টাকা হলে ডনকে বিক্রি করবেন। তবে তার ইচ্ছে কোরবানির হাটে নিয়েই গরুটিকে বিক্রি করবেন তিনি। 

স্থানীয় অনেকেই বলেন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু হচ্ছে ‘ডন’। প্রায় ৮০০ কেজি ওজনের এ গরুটি দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে ভিড় করছেন মানুষ। তাদের মাঝে গরুটির দাম নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। গো-খাদ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকেই গরু-ছাগল পালন বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউবা গরু মোটাতাজাকরণের জন্য ইনজেকশন দেন কিংবা ওষুধ খাওয়ান। কিন্তু আসলাম ছৈয়াল  বিশাল আকারের গরুটিকে কোনো প্রকার ওষুধ প্রয়োগ না করেই তৈরি করেছেন। ভালো দাম পেলে আরও অনেকেই কোরবানির গরু পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

ব.ম শামীম/এমএএস