‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৭ জুন) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, প্রথম শিল্পবিপ্লব ১৭৮৪ সাল বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার, দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব ১৮৭০ সাল বিদ্যুতের আবিষ্কার ও তৃতীয় ১৯৬৯ সাল ইন্টারনেটের আবিষ্কার। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আগের তিনটি শিল্পবিপ্লবকে ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হিসেবে ডিজিটালাইজেশন আমাদের কাজের সকল ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ছোঁয়ায় পৃথিবী বদলে যাচ্ছে।

অতিথিরা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশের জনগণ ডিজিটালাইজেশনের সুফল পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে সকল কাজ অনলাইনভিত্তিক হবে। আগামীর প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে সরকার দেশে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতকেই সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

খুলনা বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক সারা মনামী হোসেন ও খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. মেহেদী হাসান। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহযোগিতায় বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিস এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারীরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

মোহাম্মদ মিলন/এমএএস