মাদারীপুরের শিবচরে চাঞ্চল্যকর সোহেল মল্লিক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। দীর্ঘ ৯ বছর পালিয়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ভোরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শিবচরের যাদুয়ারচর এলাকার মৃত গফুর হাওলাদারের ছেলে শাহীন হাওলাদার(৩৯) ও মিজানুর রহমান কুটুম (৪৩)।

জানা গেছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে ২০১৩ সালের ৮ আগস্ট রাতে নিজ বাড়িতে সোহেল মল্লিককে হত্যা করে মরদেহ লেপ দিয়ে পেঁচিয়ে খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। এই ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে শিবচর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ ৯ বছর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহীন হাওলাদার ও মিজানুর রহমান কুটুম নির্মাণ শ্রমিকের ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন। উক্ত ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে বিষয়টি র‌্যাবের নজরে আসে। এরই ফলশ্রুতিতে উক্ত ঘটনার আসামিদের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত ১৪ মে একই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি মো. আলামিনকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ নিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করল র‌্যাব। এছাড়া মৃত আব্দুল গফুর হাওলাদারের আরেক ছেলে খালেক হাওলাদার (৩৫) এখনো পলাতক রয়েছেন।

র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহতাসিম রসুল বলেন, ২০১৩ সালের ৮ আগস্ট মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার জাদুয়ারচরের সিদ্দিক মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় অপরাধীরা। পরে ২০১৮ সালের ১৪ই মে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরিফ উদ্দিন আহম্মদ ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মামলায় গ্রেপ্তারের পর জামিন নিয়ে পলাতক ছিল আসামিরা। পরে র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় মিজানুর রহমান ও শাহীন হাওলাদারকে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আইনী প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এর আগে গত ১৪ মে মামলার অপর আসামি বেলায়েত খাঁয়ের ছেলে আল আমিন খাঁকে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি খালেক হাওলাদার এখনো পলাতক রয়েছেন।

রাকিব হাসান/এবিএস