মুন্সীগঞ্জে বাবার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এমদাদ হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া পাখির মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত এমদাদ হোসেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা দেলোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মরদেহ একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে ছেলে এমদাদ হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা আরেকটি মাইক্রোবাসে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। মাইক্রোবাসটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া পাখির মোড় আসলে একটি গাড়ি পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মারা যান এমদাদ। আহত হন আরও তিনজন।

আহতরা হলেন- একই গ্রামের শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রত্না বেগম (৪০), দুলাল মিয়ার স্ত্রী কাজল (৩৫) এবং মাইক্রোবাসে চালক বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মফিজ মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৮)।

গজারিয়ার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক এএসএম রাশেদুল ইসলাম জানান, ঢাকার একটি হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এমদাদ হোসেনের বাবা দেলোয়ার হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান দেলোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এমদাদ তার বাবার মরদেহ একটি অ্যাম্বুলেন্সে দিয়ে পেছনে পেছনে অন্য একটি মাইক্রোবাসে করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। তাদের গাড়িটি রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এলাকায় আসলে অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। 

এতে মাইক্রোবাসটি রাস্তার মাঝখানে সড়ক ডিভাইডারে উঠে যায়। প্রচণ্ড ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আরোহীরা সবাই আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এমদাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। মাইক্রোবাসটির চালক আলামিনসহ অপর তিনজন গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন শুক্রবার সকালে এমদাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটিকে শনাক্তের চেষ্টা চালছে।

ব.ম শামীম/আরএআর