ঈদুল আজহার ছুটিতে শেকড়ের টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসস্ট্যান্ডগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। দলে দলে বাসস্ট্যান্ডে আসছেন যাত্রীরা। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র পরিবহন সংকট। তিন ঘণ্টা চেষ্টা করেও বাসে উঠতে পারছেন না যাত্রীরা।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। বাসস্ট্যান্ডে হেঁটে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। 

রাজশাহী যাওয়ার জন্য দক্ষিণ গাজিরচটের ভাড়া বাসা থেকে বের হয়েছেন ইব্রাহিম নামে এক যাত্রী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বাসা থেকে বিকেল ৩টার দিকে বের হয়েছি। এখন পর্যন্ত গাড়িতে উঠতে পারিনি। অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। এখনো চেষ্টা করছি। অনেক সময় পর পর একটি গাড়িতে ওঠার সুযোগ হয়। এ সময়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। হুড়োহুড়ি করে গাড়িতে উঠতে হচ্ছে। 

অপর যাত্রী সালমা বলেন, দুপুর ২টা থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে বসে আছি। এখানে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। অসংখ্য যাত্রী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। আমিও প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বসে আছি। এখন চিন্তা করছি বাসায় ফিরে যাবো। এভাবে বাড়ি ফিরতে চাইলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। এছাড়া যানজট শুরু হয়েছে। আগামীকাল আবার বাসস্ট্যান্ডে আসবো। ভিড় কমে গেলে বাড়ির দিকে রওনা হবো।

আলিফ পরিবহনের চালক হামিদ বলেন, যাত্রীর চাপ দেখে সড়কের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। দুই মিনিটেই গাড়ি ভরে গেছে। যাত্রীদের কথা ভাড়া নিয়ে সমস্যা নেই, আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। আজ অসংখ্য যাত্রী এক সঙ্গে বের হয়েছে। গাড়ি চালক হওয়ার পর যাত্রীদের এমন ভিড় আগে কখনো দেখিনি। সড়কে পরিবহন সংকটের কারণে এতো যাত্রী জমায়েত হয়েছে। 

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, সড়কে আমরা অত্যন্ত তৎপর। এখন পর্যন্ত যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ধীরগতি রয়েছে। একসঙ্গে অসংখ্য যাত্রী বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন। এজন্য একটু ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। 

আরএআর