কালচারাল কর্মকর্তা রেদোয়ানার শিশু সন্তানের দায়িত্ব নেবে কে?
জেলা কালচারাল কর্মকর্তা রেদোয়ানা ও তার শিশু সন্তান
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হাসপাতালের ভেতর খুন হওয়া জেলা কালচারাল কর্মকর্তা রেদোয়ানার শিশু সন্তানের দায়িত্ব দিতে কমিটি গঠন করেছে জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড। বর্তমানে শিশুটি মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের শিশু বিভাগের এনআইসিইউয়ের নার্সদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২২ মার্চ জেলা কালচারাল কর্মকর্তা রেদোয়ানা ইসলাম কুমুদিনী হাসপাতালে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এর কয়েকদিন পর ২৭ মার্চ বিকেলে তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান হাসপাতালের ভেতর চিকিৎসাধীন রেদোয়ানাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে শিশুটিকে হস্তান্তরে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খানকে আহ্বায়ক এবং জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক মো. শাহ আলমকে সদস্য সচিব ও পিপি অ্যাডভোকেট এস আকবর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিনকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও জেলায় আরও পাঁচটি অজ্ঞাত পরিচয় শিশু পাওয়া গেছে। তাদেরকে সরকারি শিশু পরিবারে রাখা হয়েছে। তাদের বাবা-মায়ের নামের জায়গায় অজ্ঞাত রেখে জন্মনিবন্ধন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও দুই শিশুকে উপযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে লালন-পালনের জন্য দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিশেষ ভৌমিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালের শিশু বিভাগের এনআইসিইউতে নার্সদের অধীনে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে। শিশুটির বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা কালচারাল কর্মকর্তা রেদোয়ানা ইসলামের শিশু কন্যাটিকে হস্তান্তরের জন্য জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা করা হয়েছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে রেদোয়ানার ভাই-বোন বা তার আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তারা যদি শিশুটিকে নিতে আগ্রহী হয় তাহলে আইনগতভাবে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যদি তারা নিতে অস্বীকার করেন তাহলে আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে যিনি উপযুক্ত হবেন তার কাছে শিশুটি হস্তান্তর করবো। শিশুটিকে নিতে ইতোমধ্যে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর