পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ওই গৃহবধূর নাম তাসমিরা আক্তার (২২)। তিনি উপজেলার চিলাহাটি ইউপির গাজকাটি এলাকার শাহীন ইসলামের স্ত্রী। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

এদিকে শুক্রবার (১১ আগস্ট) মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে শাহীন তাসমিরাকে মারধর করে। এরপর ভুক্তভোগী তাসমিরা তার বাপের বাড়ি চিলাহাটি চলে যায়। চিলাহাটিতে থাকা শাহিন তার বোনকে বিষয়টি জানালে তিনি তাসমিরাকে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তবে বাড়িতে এসে তাসমিরাকে আবারও নির্যাতন করা হয় এবং শুক্রবার সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রায় সাত বছর ধরে এ দম্পতি সংসার জীবনে কলহ-বিবাদ লেগেই ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকার পারিবারিকভাবে সমাধানেরও চেষ্টা হয়েছে। তাদের সংসারে দু’টি সন্তান রয়েছে। তাসমিরা নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জের মুছার মেয়ে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সকালেও তাসমিরাকে মারধর করা হয়েছে বলে তারা প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পারেন। তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তাসমিরার শরীরের একাধিক স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের কারণে তার পা দিয়ে রক্ত ঝরছিল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রঞ্জু আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার সকালে তাসমিরা আক্তার নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করার পর প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

শনিবার সকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এসকে দোয়েল/টিএম