রোববার রাতে ঝড়ে নৌকা ডুবে রবিউল্লাহ ও হারুন নামে দুইজন মারা গেছেন

শখের বসে রোববার (৪ এপ্রিল) পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন শরীয়তপুরের রবিউল্লাহ বেপারী। মাঝ নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে তার মাছ ধরার নৌকাটি ডুবে যায়। এতে রবিউল্লাহ বেপারী ও তার সঙ্গে থাকা হারুন শেখ নামে আরেকজন নিখোঁজ হন। পরে সোমবার একজনের এবং মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রবিউল্লাহ বেপারী (৬৫) শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নে পূর্ব ইশ্বরদি গ্রামের বাসিন্দা। হারুন শেখের (৪৮) বাড়ি নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ইশ্বরদিকান্দি গ্রামে।  

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৪ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে পদ্মায় থাকা সব নৌকা তীরে আসা শুরু করে। রবিউল্লাহদের নৌকাও সেই চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ঝড়ে তাদের নৌকা দুই ভাগ হয়ে ডুবে যায়। অন্যরা পাড়ে আসতে পারলেও তারা দুইজন পারেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সোমবার দুপুরে রবিউল্লাহ ও মঙ্গলবার বিকেলে হারুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

স্থানীয়রা বলছেন, অনেকটা শখের বসে জীবনটা দিল রবিউল্লাহ বেপারী। সে জেলে না। সে আগে কখনো মাছ ধরতে নদীতে যায়নি। শখের বসে গিয়ে এখন লাশ হয়ে ফিরল। 

রবিউল্লাহ বেপারীর ছেলে হাকিম উদ্দিন বলেন, বার বার বাবাকে নদীতে যেতে নিষেধ করেছি। নদী আমাদের সব কেড়ে নিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই দাদা কখনো বাবাকে নদীতে যেতে দিতেন না। আমরাও যেতে দিতে চাইনি। এবার আমাদের না বলে চলে গেছে মাছ ধরতে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রুপা রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে দুইজন নিখোঁজ ছিল। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি/জেএস