মামুনুলকে অবরুদ্ধের পর রিসোর্টে হামলা, হেফাজতের ৩ কর্মী গ্রেফতার
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধের পর হামলা চালিয়ে উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় তিন কর্মীকে গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধের পর হামলা চালিয়ে উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পঞ্চবটি গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে রাজু মিয়া, আবু রায়হান এবং মোক্তার হোসেনের ছেলে ইমরান মিয়া।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার তবিবুর রহমান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে হেফাজতে ইসলামের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে রিসোর্টে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁয়ের বাংলাবাজার এলাকা থেকে মো. মোস্তফা মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
রয়েল রিসোর্টে শনিবার মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধের পর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে উদ্ধারের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। অপরটি আহত এক সাংবাদিক করেছেন। তিন মামলার একটিতে মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়।
সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও রয়েল রিসোর্ট ভাঙচুরের ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন এসআই ইয়াউর রহমান। এ মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়।
একই মামলায় সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব ইকবাল হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
সোনারগাঁ থানার এসআই আরিফ হাওলাদার বাদী হয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলায় হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলায় আহত চ্যানেল এস নামের একটি বাংলা টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান অপর মামলাটি করেন। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
শেখ-ফরিদ/এএম