কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে হামলা, নাশকতা ও দুজন নিহতের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় পুলিশের ওপর হামলা ও  নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা ১৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করে এ মামলা করেন কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। এতে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ১৫০০ থেকে ১৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

কুলিয়ারচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুর রহমান জানান, ছয়সূতির ঘটনায় কুলিয়ারচর থানার উপ-পরিদর্শক তারেক পারভেজ বাদী হয়ে দুটি এবং বাজরার ঘটনায় উপ-পরিদর্শক নূরে আলম বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে কুলিয়ারচরের ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ চলাকালে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালানো হয়। এতে ছয়সূতি ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও ছাত্রদলের সহসভাপতি শেফায়েত উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।

এদিকে দলের দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ডাকে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, কুলিয়ারচরে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে হামলা ও গুলি চালিয়ে আমাদের নেতাকে হত্যা ও অনেককে আহত করা হয়েছে। এখন আমাদের নামেই পাল্টা মামলা দিচ্ছে। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠাচ্ছে। জেলার অন্যান্য উপজেলায় পুলিশ বাদী হয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিচ্ছে। আমাদের জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকসহ শত শত নেতার নামে মামলা দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিচ্ছি এভাবে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না আমরা যেমন রাজপথে আছি সেভাবে কোর্টেও আছি।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এনটি