নাটোরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অফিস ভাঙচুর
নাটোরে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ ডলারের অফিস ভাঙচুর করেছে এক পক্ষ। বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে সদর উপজেলা ও নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। দুপুর ১২টার দিকে শহরের বড়গাছা এলাকায় সেই কমিটির পদবঞ্চিতদের সঙ্গে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর নতুন কমিটির সমর্থক জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ ডলারের অফিসে ভাঙচুর চালায়।
বিজ্ঞাপন
পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থী সাদ বিন জাকির অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্যাডে ওমর ফারুক লিটনকে সভাপতি ও রবিনকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। কিন্তু কমিটিতে কর্মীবান্ধব নেতাদের জায়গা না দেওয়া ও বিএনপি জামায়াত থেকে আসা বিবাহিতদের পদ দেওয়ার প্রতিবাদে দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক ভিপি ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে থেকে নাটোর ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এর কিছুক্ষণ পরই আমাদের অনুপস্থিতিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ তার সমর্থকদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ ডলারের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান এবং ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ সময় কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগও করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন কমিটিতে যারা এসেছে তারা রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক। পদবঞ্চিতদের অনেকে উস্কে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, পদবঞ্চিত এবং নতুন কমিটির সদস্যদের মধ্যে সমস্যার সমাধানে আজ কলেজে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ ডলারের অফিসের কাছে পৌঁছালে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পদবঞ্চিতরা। আমার ওপর হামলা দেখে আমার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা এগিয়ে গেলে তারা অফিস থেকে পালিয়ে যায়। পরে দুই-এক জায়গায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিকেল পর্যন্ত থানায় এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। বর্তমানে বাহিরে আছি, পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
গোলাম রাব্বানী/আরএআর