জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎকের অবহেলায় এক রোগী মৃত্যুর ঘটনায় দোষী চিকিৎসকের বিচার ও কর্মবিরতি প্রত্যাতাহের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন ওই রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। এদিকে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চিকিৎসকদের আহত করা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তি এবং সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।

যত দ্রুত দাবি বাস্তবায়িত হবে, তত দ্রুতই আমরা কাজে ফিরে যাব। আমাদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে আজ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলায় চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।

মুহা. মাহফুজুর রহমান সোহান, সহকারী পরিচালক, জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বকুলতলা চত্বরে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় মৃত রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা। ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন শামীম আহমেদ, ফজলুর রহমান, বিষ্ণু চন্দ্র মন্ডল প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মৃত্যুর জন্য দোষী চিকিৎসকের শাস্তি, হয়রানিমূলক মামলা ও নিরীহ রোগীদের জিম্মি করে তাদের হয়রানি বন্ধে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানান। এদিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহফুজুর রহমান সোহান ঢাকাপোস্টকে জানান, যত দ্রুত দাবি বাস্তবায়িত হবে, তত দ্রুতই আমরা কাজে ফিরে যাব। আমাদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে আজ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলায় চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।
 
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান আহত হন এবং তাকেসহ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় জড়িত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খানকে প্রত্যাহার, কর্মস্থল নিরাপদ করা, দোষীদের বিচার ও অতিদ্রুত চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবিতে গত রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন জেলার সব চিকিৎসক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানান চিকিৎসকরা। তবে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলেও হাসপাতালগুলোর অন্তর্বিভাগসহ চালু রয়েছে জরুরি সেবা। এদিকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা।

এনএ