আটক স্বামী আমিনুল

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্ত্রীকে হত্যার পর শরীরে লবণ ছিটিয়ে কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক স্কুলশিক্ষককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূর নাম শান্তা আক্তার (২২)। তিনি সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকার মো. কলিমউল্লাহর মেয়ে। আটক স্বামী আমিনুল বন্দর গালর্স স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক। তিনি নবীগঞ্জ এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়ি ভাড়া থাকেন।

নবীগঞ্জ গালর্স স্কুলের পিটি শিক্ষক আমিনুল ইসলাম তার স্ত্রীকে হত্যা করে শরীরে লবণ মেখে কম্বল পেঁচিয়ে লাশ ভাড়া বাসা রেখে দেন। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে স্ত্রীর লাশ নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখেন লাশের মাথায় আঘাত এবং দুই-তিন দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বন্দর থানা

এ ব্যাপারে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান চিকিৎসক মেহেবুবা সাঈদ ঢাকাপোস্টকে জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী আমিনুল ইসলামকে (৩০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া ঢাকাপোস্টকে নিশ্চিত করে জানান, নবীগঞ্জ গালর্স স্কুলের পিটি শিক্ষক আমিনুল ইসলাম তার স্ত্রীকে হত্যা করে শরীরে লবণ মেখে কম্বল পেঁচিয়ে লাশ ভাড়া বাসা রেখে দেন। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে স্ত্রীর লাশ নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখেন লাশের মাথায় আঘাত এবং দুই-তিন দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে।

এ সময় আমিনুল জরুরি বিভাগ থেকে পালানোর চেষ্টা করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে থানায় খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে সুরতহাল তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। হত্যার কারণ এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে, কী কারণে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন।

এনএ