বললাম সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য বললেন মুভমেন্ট পাস দেখান
একাত্তর টিভি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম
লকডাউনে দায়িত্বপালন করতে গিয়ে পুলিশের হয়রানির শিকার হয়েছেন একাত্তর টিভি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম।
একাত্তর টিভির লাইভে যোগ দিতে হাওরের দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে পৌর শহরের ওয়েজখালী এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ তার মোটরসাইকেল আটকে মুভমেন্ট পাস চায়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়েও তার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিয়ে শামস শামীম ফেসবুকে লিখেছেন, কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। পুলিশ কোথাও কঠোর, কোথাও ঢিলেঢালা। কখনো বাড়াবাড়ি করছেন। কিছুক্ষণ আগে হাওর থেকে ফিরেছি। একাত্তর টিভিতে হাওরের স্টোরি নিয়ে লাইভ করে আসলাম। ওয়েজখালি এলাকায় রাজ্জাক নামের একজন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল থামালেন। কিছু না বলেই চাবি নিয়ে নিলেন। বিষয়টি সহ্য হলো না। আমি বললাম একাত্তর টিভি ও কালের কণ্ঠে কাজ করি।
তিনি বললেন, মুভমেন্ট পাস দেখান। বললাম আমার জন্য মুভমেন্ট পাস প্রযোজ্য নয়। তিনি বললেন প্রযোজ্য। বললাম সরকারি ১৩ দফা নির্দেশনা আপনার মোবাইল থেকে সার্চ করে জেনে নিন। এতে তিনি আরও গরম হলেন। বললেন ডিসি ইউএনও সাহেব বললে গাড়ি দেব। আমি বললাম ঠিক আছে। বাইক রেখে দিন; আমি চললাম। ওই সময় আরেক পুলিশ ভাই এগিয়ে এসে বললেন, স্যার উনি সাংবাদিক চাবি দিয়ে দেন। পরে দুজন পথচারীর হাতে চাবি দিলেন। কিন্তু গর্জন থামছে না তার। ঘটনাটি ফোনে এসপিকে জানালাম।
বিজ্ঞাপন
শামস শামীমের ফেসবুক পোস্টটি জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখার যুগ্ম সচিব মো. সাবিরুল ইসলামের নজরে এসেছে। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন।
সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে বলেন, চিকিৎসক-নার্স, পুলিশ সদস্যরা যেমন ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন; তেমনি সাংবাদিকরাও ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্বপালন করছেন। এখন আমাদের দায়িত্বপালনে পুলিশ যদি হয়রানি করে তাহলে বিষয়টি দুঃখজনক।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। ওই পুলিশ সদস্য সাংবাদিক পরিচয় জেনে এমন ব্যবহার করেছেন নাকি পরিচয় না জেনে এমন ব্যবহার করেছেন তা খতিয়ে দেখব। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে বলব।
সাইদুর রহমান আসাদ/এএম