ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৪
সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মাইক্রোবাস ভস্মীভূত
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের হেতিমগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার মোল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায় নি।
নিহতরা হলেন- মাইক্রোবাস চালক সুনাম উদ্দিন (৩০), যাত্রী রাজন আহমদ (২৪), হাসান (৮)। অপর একজনের পরিচয় জানা যায় নি। সুনাম উদ্দিন ও রাজনের বাড়ি বিয়ানীবাজারের চারখাই ইউনিয়নে। রাজন আহমদ সিলেটের মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চারখাইয়ের রাজন আহমদ তার এক ভাতিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে মাইক্রোবাসে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আরও ৪ যাত্রী গাড়িতে তুলেন তিনি। বুধবার ভোর ৫টার দিকে হেতিমগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয় মাইক্রোবাসটি। এ সময় তিন যাত্রী মাইক্রোবাস থেকে নেমে যান। এরপরই সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মাইক্রোবাস চালক সুনাম উদ্দিন, যাত্রী রাজন আহমদ ও অজ্ঞাত আরেক যাত্রী মারা যায়।
এদিকে, গাড়ির কিছু অংশ উড়ে গিয়ে পাশের সুজা মিয়া কলোনির হাসান নামে শিশুর ওপর পড়ে। এ সময় সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. কোবাদ আলী সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ট্রাকচালক কোনো কাজে হয়তো গাড়ি থামিয়েছিল। কিন্তু মাইক্রোবাসের (নোহা গাড়ি) চালক ওই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেন। এ সময় তিন যাত্রী নেমে যান। মাইক্রোবাসে থাকা তিন যাত্রী বিস্ফোরণে মারা যান। পাশের কলোনির এক শিশুকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে তারও মৃত্যু হয়।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত চারজনের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আগুনে তার শরীর পুড়ে গেছে। তাই চেনা যাচ্ছে না। নিহতদের মরদেহ এখনও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
এসপি