৯৭ বছরের বৃদ্ধাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে গেলেন ছাত্রলীগ নেতা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁর ৫টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট বিকেল ৪টায় শেষ হয়। এদিন বিকেলে নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের সরকারি কলেজ ভোটকেন্দ্রে ব্যতিক্রমী দৃশ্যের দেখা মিলেছে। চলাফেরায় প্রায় অক্ষম ৯৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে স্বযত্নে ভোটকেন্দ্রে এনেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ খান।
ওই বৃদ্ধার নাম মায়মুন বিবি। জাতীয় পরিচয়পত্রে মায়মুন বিবির জন্ম তারিখ ১৯২৭ সালের ২০ অক্টোবর দেওয়া আছে। সেই হিসেবে ভোটের দিন তার বয়স হয়েছে ৯৬ বছর ২ মাস ১৮ দিন। নওগাঁ পৌরসভার বাঙ্গবাড়ীয়া মহল্লার বাসিন্দা মায়মুন বিবি ভোট দিতে পেরে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞাপন
মায়মুন বিবি বলেন, জলিল ভাইকে আগে থেকেই আমরা মানতাম। জলিল ভাইয়ের বাবার গোডাউনে আমার ভাই-বাবারা কাজ করতেন। সেখানে কাজ করেই আমাদের পুরো সংসারের খরচ চলতো। তাই জলিল ভাইয়ের প্রতি আমি ও আমার পরিবার চিরকৃতজ্ঞ। প্রয়াত নেতা জলিল ভাইয়ের প্রতি ভালো লাগা থেকেই তার পুত্র নিজাম উদ্দিন জলিল জনকে ভোট দিতে ছুটে এসেছি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার মা নিজে রান্না করে তাদের খাইয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমরা নৌকায় ভোট দেই। ভোট দিতে প্রতিবেশী নাতির সহযোগিতা চেয়েছিলাম। সে ভোটকেন্দ্রে এনে আমাকে ভোটাধিকার প্রয়োগে সহযোগিতা করেছে। এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ ভোট। ভোট দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
মায়মুন বিবি আরও বলেন, অনেকে আছে তাদেরকে না খাওয়ালে তারা ভোট দেয় না। কিন্তু আমরা সেটা করি না। আমি জলিল ভাইয়ের লোক, নৌকার লোক। তাই ভোট দেওয়ার জন্য এসেছি। আমাদের পুরো পরিবার নৌকায় ভোট দেয়। আব্দুল জলিলের ছেলে আমার এলাকায় গেলে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
বিজ্ঞাপন
নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ খান বলেন, প্রতিবেশী দাদী বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে আক্রান্ত। উঠে দাঁড়ানো বা সোজা হয়ে হাঁটবার মতো শক্তি ছিল না তার। তার ভোটাধিকার প্রয়োগের আগ্রহ ছিল অনেক। সকালে হঠাৎ আমাকে ডেকে বললো ভোট দিতে যাবে। আমিও সহযোগিতা করলাম। ভোট দিতে পেরে সে খুব খুশি। পরে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
আরমান হোসেন রুমন/আরকে