গায়ে আগুন দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে গায়ে আগুন দিয়ে হালিমা খাতুন (৫০) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। 

রোববার (১৮ এপ্রিল) তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। হালিমা খাতুন সদর উপজেলার কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়নের ছোবারভিটা এলাকার কিতাব আলীর স্ত্রী।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করার পর বাড়ির পাশের বাঁশবাগানে গিয়ে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন হালিমা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, হালিমা খাতুনের চার ছেলে। দুই ছেলে থাকে বগুড়ায়। আরেক ছেলে বাড়িতে কৃষিকাজ করে। চতুর্থ ছেলে স্থানীয় টমেটোর আড়তে কাজ করে। স্বামী কিতাব আলীও কৃষিকাজ করেন। সংসারের সবকিছু দেখাশোনা করতেন হালিমা। 

তবে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার কথা অস্বীকার করেছে পরিবারের লোকজন। এমনকি ওই নারীর বড় ছেলে হায়দার আলী তার মায়ের মানসিক সমস্যা ছিল বলে পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

হায়দার আলী বলেন, আমার মায়ের মানসিক সমস্যা ছিল। কারও সঙ্গে তার কোনো ঝগড়া হয়নি। তবে কেন আত্মহত্যা করলেন; আমরা ভেবে পাচ্ছি না।

কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী বলেন, ওই নারী তার সংসারের দেখাশোনা করতেন। কিন্তু কি কারণে আত্মহত্যা করলেন বুঝতে পারছি না। বিষয়টি রহস্যজনক।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি স্বামীর সঙ্গে কোনো বিষয়ে ঝগড়া হয়েছিল তার। এজন্য আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের সদস্যদের কোনো অভিযোগ নেই। আমাদের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

মো. রনি মিয়াজী/এএম