গাজীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ
কৃষকের দেড় বিঘা জমির পাকা ধান কেটে দিলেন ছাত্রলীগ
কঠোর বিধিনিষেধে শ্রমিক ও অর্থ সংকটের কারণে দেড় বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া। ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল।
খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সুলতান মো. সিরাজুল ইসলাম সেখানে ছুটে যান।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের ২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে সুলতান মো. সিরাজুল ইসলাম রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে থেকে দুলাল মিয়ার দেড় বিঘা ক্ষেতের ধান কেটে মাড়াই করে দেন। হঠাৎ রাজপথের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কৃষকের ক্ষেতের ধান কাটতে দেখে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সচেতন মহলসহ স্থানীয়রা।
বিজ্ঞাপন
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেওয়ায় কৃষক দুলাল মিয়া অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, অন্যের চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছেন। বিধিনিষেধের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান কাটতে পারছিলাম না।
কৃষক দুলাল মিয়া আরো বলেন, এছাড়াও এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা সুলতান সিরাজ ভাই নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে কোনো টাকাপয়সা ছাড়াই ধান কেটে দেন। নেতাকর্মীরা যেভাবে ধান কাটতে সাহায্য করেছেন, তা কখনও ভুলব না।
ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি ধান কাটার মৌসুমেই ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা শ্রীপুরে ধান কাটাতে আসেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধে অন্য এলাকার শ্রমিক এখানে আসতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, এদিকে কৃষক দুলাল মিয়া পাকা ধান কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েন। তার অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগের জেলা ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধান কেটে দিয়েছি। প্রয়োজনে অন্যদের ধান কেটেও ঘরে তুলে দেবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
শিহাব খান/এমএসআর