চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে মাথায় লাঠির আঘাত
আম পাড়তে যাওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার এক ব্যক্তি
সাভারে নিজের গাছের আম পাড়তে যাওয়ায় পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজনের হামলার শিকার হয়েছেন আওলাদ হোসেন ও তার পরিবার। এ সময় মরিচের গুঁড়া ছুড়ে তাদের ওপর হামলা করলে দুইজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন।
রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে আশুলিয়া থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। এর আগে বুধবার (১৫ এপ্রিল) আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আসামিরা হলেন, সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার চারিগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মোকছেদ আলী (৪৮), তার স্ত্রী শান্তা বেগম (৪৫), তিন মেয়ে আকলিমা খাতুন (২৬), রোজিনা (২৮) ও জামিনা বেগম (২২)।
ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন বলেন, ১৫ এপ্রিল আমার পৈত্রিক জমির গাছে আম পাড়তে যায় ভাই-ভাতিজারা। ওই জমি নিজের বলে দাবি করা শান্তা বেগম, তার স্বামী ও ৩ মেয়ে নিয়ে আমার ভাতিজা মেহেদীকে (২৭) মারধর করে। আমি ঘটনা জানতে পেরে মেহেদীকে উদ্ধার করার জন্য গেলে আমাদের উপর মরিচের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে ছুড়ে মারে।
পরে লাঠি, বটি, দা নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। মরিচের গুঁড়া চোখেমুখে লাগলে জ্বলতে শুরু করে। এ সময় চোখ খুলতে না পারার সুযোগে আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে মোকছেদ আলী। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। এরপর ভাতিজা মেহেদী ও আমাকে আশেপাশের মানুষ ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
আমার মাথায় ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। পরে জানতে পারি তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশ ডেকে এনে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে।
তিনি আরো বলেন, যে জমিতে আম গাছ সে জমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। কিন্তু বিবাদীরা জোরপূর্বক আমার জমি দখল করার পাঁয়াতারা করে আসছে। এর আগে তারা আদালতে এই জমি নিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসার পর থেকে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
এর পূর্বে ওই জমি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান বিচার-সালিস করে আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। তারা সব কিছু জানেন। যারা আমার উপর হামলা করছেন, তাদের বিচার চাই।
সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শফিউল আলম সোহাগ বলেন, ৭ বছর ধরে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের কথা শুনে আসছি। আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে আসলেও কাজ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতদূর জানি এ জমির প্রকৃত মালিক আওলাদ হোসেন। অপরপক্ষের কাছে এ জমিসংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তারা জমি নিজেদের বলে দাবি করে আসছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কায়সার হামিদ বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। বাদী-বিবাদীর মধ্যে পূর্ব থেকেই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর