সংঘর্ষে আহত যুবলীগের নেতা বিল্লাল হোসেন

যশোরের মণিরামপুরে নির্মাণাধীন সড়কে বালু ফেলা কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। রোববার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার শয়লাবাজারে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহতরা হলেন, স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন (৪২), আব্দুল হালিম (৪১), পথচারী লিয়াকত হোসেন ও এলাহি বক্স। আহতদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন ও আব্দুল হালিমকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশার ভুট্টো জানান, শয়লা-রসুল বাজারের নির্মাণাধীন সড়কে তারা বালু দেওয়ার সাবকন্ট্রাক্টের কাজ পান। সড়কে বালু দেওয়ার সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ১৬ এপ্রিল সাবকন্ট্রাক্টর চন্টা, আব্দুল্লাহ, বাপ্পী, মিন্টুকে মারপিটসহ এক্সকেভেটর মেশিন ও ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এরই জেরে রোববার যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে আব্দুস সামাদ, পারভেজ, মোস্তাক মিলে তার ছেলে রেজাউর রহমানকে মারপিট করে।

এ ঘটনায় তিনি রোববার বিকেলে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিন সন্ধ্যায় তার ভাই আব্দুল হালিমকে মারপিট করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান দাবি করেন, ভুট্টো, চন্টা মিলে নির্মাণাধীন সড়কে বালূর পরিবর্তে মাটি দিলে স্থানীয় জনগণ বাধা দেয়। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে মারপিট করা হয়।

ঘটনার দিন তিনিসহ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শয়লাবাজারে গেলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে বিল্লাল হোসেন কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মণিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে শয়লাবাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এলাকায় সংঘর্ষ এড়াতে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শাহাজান আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ টহলে রয়েছে।  

জাহিদ হাসান/এমএসআর