কৃষকের ২০ বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাঠে দুলছে সোনালি ধান। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে পারছেন না কৃষক। ওই সব কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কৃষকের ২০ বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছেন তারা।

রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার বাদুরতলী গ্রামের কৃষক কবির হাওলাদার (৫৫) ও সালাম হাওলাদারের (৬৫) ১০ বিঘা জমির পাকা বোরো ধান কেটে দিয়েছে যুবলীগ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শহীদ, পৌর যুবলীগের সহসভাপতি শেখ মো. যুবরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হাওলাদার, মনিরুজ্জামান মারুফ অর্ধশত নেতাকর্মী।

কৃষক কবির হাওলাদার বলেন, ‘শ্রমিক না পাওয়ায় আমি ও আমার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সকালে মাঠে ধান কাটতে ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি যুবলীগ নেতাকর্মীরা ক্ষেতে নেমে ধান কাটতে শুরু করেছে।’ 

ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন নেতাকর্মীরা 

কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার বিপিনপুর গ্রামে আব্দুল আজিজের ১০ বিঘা জমির বোরো ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন থানা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। মহিপুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বুলেটের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, সুমন হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সিদ্দিক মোল্লাসহ ৫০ নেতাকর্মী ধান কাটায় অশং গ্রহণ করেন।

কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, দেশে করোনার কারণে ক্ষেতের ধান কাটার জন্য শ্রমিক না পাওয়ায় চিন্তায় ছিলাম। আজ সকালে মহিপুর থানা যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার ক্ষেতের ধান কেটে বাড়ির উঠানে পৌঁছে দিয়েছেন।

মহিপুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বুলেট বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সব সহযোগী সংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের আহ্বানে আমরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি।

কলাপাড়া যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারায় যুবলীগ নেতাকর্মীরা টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী এলাকার দুই কৃষকের ১০ বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছে। যুবলীগের পক্ষ থেকে কৃষকের জন্য আমাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

কাজী সাঈদ/এমএসআর