ফাইল ছবি

কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে প্রতি বছরের ন্যায় আগামী ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছে।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশসক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রানী রায়, সদর নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. আজহার আলীসহ মাছ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশ বৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। অবৈধ উপায়ে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হবে। হ্রদে অবৈধ উপায়ে মাছ ধরার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরএআর