গ্রেফতার জহুর আলী ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার

যশোরের বেনাপোলে এনজিও কর্মী আল আমিন ওরফে নয়ন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমের কারণে নয়নকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। একই গ্রামের জহুর আলীর স্ত্রী কামরুন্নাহার ওরফে কুটিলার সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার ও হত্যায় ব্যবহৃত রশি, ভিকটিম ও আসামির মোবাইল ফোন এবং রশি পোড়ানোর আলামত উদ্ধার করেছে।

গ্রেফতাররা হলেন-  বেনাপোলের দুর্গাপুর গ্রামের লোকমান মির্জার ছেলে জহুর আলী ও জহুরের স্ত্রী কামরুন্নাহার ওরফে কুটিলা। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান যশোরের পুলিশ সুপার মো. আশরাফ হোসেন।

তিনি আরও জানান,  দুর্গাপুর গ্রামের জহুর আলীর স্ত্রী কামরুন্নাহার ওরফে কুটিলার সঙ্গে নয়নের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের কথা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এ কারণে কুটিলা এ সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে আল-আমিন নয়নকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর রাতে নয়নকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বাড়ির পাশে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তারা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দির সিকদার, তৌহিদুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরএআর