করোনার সম্মুখযোদ্ধাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করে শাদমান বিশ্বাস

স্কুল চলাকালীন নিজের টিফিনের টাকা ও ঈদ খরচের টাকা বাঁচিয়ে জমিয়ে রেখেছিলেন যশোরের শাদমান বিশ্বাস (১০) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী। তার ইচ্ছা ছিল জমানো সেই টাকা দিয়ে সমাজসেবামূলক কোনো কাজ করার।

আর সেই ইচ্ছা থেকেই যশোরের করোনার সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসক, পুলিশ ও সাংবাদিকদের মাঝে মাস্ক বিতরণে নেমে পড়েছে ছোট এ শিশুটি। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের মাস্ক বিতরণ করেছে। যা প্রশংসা কুড়িয়েছে।

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে শাদমান বিশ্বাস। তবে মা-বাবার দেওয়া নাম বাদ দিয়ে সবাই তাকে ‘খুদে মুজিব’ বলে ডাকেন। কারণ, পাঁচ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনিয়ে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছে শাদমান। এবার দেশের এই করোনা মহামারির ক্রান্তিলগ্নে করোনা সম্মুখযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সে। আর তার এই কাজের উৎসাহ দিচ্ছে শাদমানের পিতা-মাতা ও স্কুলের সহপাঠীরা।

শাদমান বিশ্বাস

যশোর সরকারি মহিলা কলেজ-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শাদমান বিশ্বাস শহরের সেক্রেড হার্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। শাহীনুর রহমান ও শিমু পারভীন দম্পতির একমাত্র সন্তান সে।

শাদমান বিশ্বাস বলেন, সমাজের জন্য ভালো কাজ করেন সাংবাদিক-পুলিশ। দেশের করোনাকালেও জীবনবাজি রেখে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। করোনায় ইতোমধ্যে অনেক সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করেছেন। তাই তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জমানো টাকা দিয়ে সামান্য মাস্ক বিতরণ করে যাচ্ছি।

শাদমান আরও বলেন, আমার এই কাজের উৎসাহ দিচ্ছেন আমা পিতা শাহীনুর রহমান ও মা শিমু পারভীন। ভালো কাজে অংশগ্রহণ করতে অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন মহলের মানুষের থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা পায়।

জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, শাদমানের কণ্ঠে বহুবার বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি শুনেছি। এবার শাদমান করোনায় সম্মুখযোদ্ধাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করছে। সেটা আসলেই প্রশংসিত। আমি তার এই মানসিকতাকে স্বাগত জানাই। 

জাহিদ হাসান/এমএসআর