চেয়ারম্যানের ভায়রা-ভাইয়ের বাসায় মিলল ত্রাণের ৪৫০ কেজি চাল
পটুয়াখালীর লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ বস্তা সরকারি ত্রাণের চাল জব্দ করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। বুধবার বিকেল ৩টায় মৎস্যবন্দর আলীপুরের লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ইদ্রিস হাওলাদারের বাসায় অভিযান চালিয়ে এ চাল উদ্ধার করা হয়।
মহিপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যানের ভায়রা ইদ্রিস হাওলাদারের বাসায় ত্রাণের চাল রয়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯ বস্তা (তিনটি ড্রামে ভরা ৪৫০ কেজি) চাল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইদ্রিস হাওলাদারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিপুর থানায় নিয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, প্রতি জনের ১২০ কেজি করে তিন নামের ভিজিডির চালসহ ১ জন জেলের কার্ডের চাল ছাড়িয়ে ইদ্রিস হাওলাদার বাসায় রেখেছেন। কে বা কারা রেখেছে এ প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ইদ্রিস হাওলাদারের আত্মীয়দের নামের তালিকার চাল এগুলো।
তবে ইদ্রিস হাওলাদার জানিয়েছেন তার তিন আত্মীয় যথাক্রমে ছালমা বেগম, সাথী বেগম ও কুলসুম বেগমের চাল রয়েছে তার বাসায়। ইউনিয়ন পরিষদের তালিকায় কুলসুম বেগমের নাম পাওয়া যায়নি। তবে ৩ জনের নামে ৩৬০ কেজি চাল বরাদ্দ থাকলেও ইদ্রিস হাওলাদারের বাসা থেকে ৪৫০ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় লতাচপলী ইউনিয়ন পরিষদের তদারকি কর্মকর্তা ইলিয়াস খান রানা ও কলাপাড়া উপজেলা ফ্যামিলি প্লানিং অফিসার বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তদারকি কর্মকর্তা ইলিয়াস খান রানা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের স্টক রেজিস্ট্রারের সঙ্গে চাল বিতরণের মিল রয়েছে। বাস্তবে কী ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে প্রশাসন। এরপর ওইদিন বিকেলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের নামের তালিকা যাচাই বাচাই করেছেন।
মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ৯ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত ইদ্রিস হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিপুর থানায় আনা হয়েছে।
কাজী সাঈদ/এমএএস