মোজাম্মেল হোসেন কামরুল

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিক সংকটে থাকা অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের বর্গাচাষি কোরবান আলীর ২৫ শতাংশ জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন তিনি। এর আগের দিনও কৃষক কোরবান আলীর ২৫ শতাংশ জমির ধান কেটেছেন তিনি।

মোজাম্মেল হোসেন কামরুল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক। তিনি চরপার্বতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। গত বছর করোনার লকডাউনেও পরিচিতজনদের নিয়ে ১০ দিনে অসহায় কৃষকদের ৩৭২ শতাংশ জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন তিনি।

মোজাম্মেল হোসেন কামরুল বলেন, কৃষক কোরবান আলী এক একর জমিতে ইরি (বোরো) ধান চাষ করেন। কিন্তু লকডাউনে শ্রমিক সংকটের পড়ে ক্ষেতের ধান ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছিল। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নিজ হাতে ওই কৃষকের ধান কাটা শুরু করলে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আরও ৬-৭ জন যুবক এতে অংশ নেন।

তিনি আরও বলেন, বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো ১২ জনকে নিয়ে ধান কাটি। কোরবান আলীর সম্পূর্ণ ধান ঘরে তুলতে আরও দুই দিন সময় লাগতে পারে। পার্শ্ববর্তী আরও কয়েকজন কৃষককেও সহযোগিতা করার চিন্তা করছি।

তিনি বলেন, দেশের যেকোনো সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো। কৃষকের এই সংকটে তারা সকলের পাশে থাকবে। তাই এই সঙ্কট উত্তরণের লক্ষ্যেই রোজা রেখেই কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

কৃষক কোরবান আলী বলেন, আমার ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। ধান কাটার জন্য অর্থ জোগান দেওয়াও ছিল কষ্টকর। চেয়ারম্যান সাহেবকে এ তথ্য জানানোর পরেই তারা সত্যি আমার ধান কেটে মাড়াই করে বস্তায় ভরে ঘরে তুলে দিচ্ছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর বলেন, এই সময়ে কৃষকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসাও একটি মানবিক গুণ। মোজাম্মেল হোসেন কামরুলের মতো অন্য জনপ্রতিনিধিরাও কৃষকদের খোঁজ-খবর রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

হাসিব আল আমিন/এমএসআর