ধান চুরির অভিযোগে বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে নির্মম প্রহার করা হয় ভিক্ষুক আবদুল বারেককে। পরে তার বিরুদ্ধে নেত্রকোনার মদন থানায় একটি চুরির মামলা করেন নির্যাতনকারীর ভাই। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে চুরির মামলার আসামি হিসেবে আবদুল বারেককে নেত্রকোনা আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এদিকে ওই দিন রাত পৌনে আটটার দিকে আবদুল বারেককে আদালতে হাজির করে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক শাহাদাত হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন। একই সময় নির্যাতনকারী মাসুদ মিয়াকেও আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নেত্রকোনা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, গত বুধবার আধা বস্তা ধান চুরির অভিযোগে নান্দাইল উপজেলার বনহাটি গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে ভিক্ষুক আবদুল বারেককে বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে রেখে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী বারঘরিয়া গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে মাসুদ মিয়া।

পরে কিছু ধানসহ ওই ভিক্ষুককে মদন থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে পুলিশ আহত আবদুল বারেককে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন এবং চিকিৎসা শেষে তাকে থানা হেফাজতে রাখেন।

এদিকে ওই দিন রাতেই আবদুল বারেককে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত মাসুদ মিয়াকে আটক করে।

এসআই আবদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ধান চুরির অভিযোগে মাসুদ মিয়ার ভাই খাইরুল মিয়া ওই ভিক্ষুকের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা করেন। একই সময় ভিক্ষুকের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেন। তারপর দুজনকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়।

মো. জিয়াউর রহমান/এনএ