একটি ঘরের জন্য চরম কষ্টে দিন পার করছেন নোয়াখালী সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া গ্রামের বিধবা মনোয়ারা বেগম। তার কষ্টের অবসান হচ্ছে। নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বিধবা মনোয়ারা বেগমকে একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (০৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক নিজস্ব তহবিল থেকে ঘর নির্মাণের জন্য ওই বিধবাকে টাকা প্রদান করেছেন। 

এর আগে গত মঙ্গলবার (০৪ মে) দুপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে বিধবা মনোয়ারা বেগমের একমাত্র ঘরটি উড়ে যায়। ঘর নির্মাণের অর্থ না থাকায় তিনি অন্যের বাড়িতে গিয়ে থাকতেন। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোস্ট.কমে ‘ঝড়ে উড়ে গেল বিধবার শেষ সম্বল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, বিধবা মনোয়ারা বেগমের একমাত্র ঘরটি ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। বিষয়টি দেখে আমার খুব খারাপ লাগে। আমি ঘর নির্মাণ বাবদ নগদ অর্থ দিয়েছি। এছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে খুব দ্রুত ঘরটি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। 

নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান স্যার আমাকে বিষয়টি জানালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধবা মনোয়ারা বেগমের জন্য টিন ও নগদ অর্থ দিয়েছি।

নেওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ এইচ বাহাদুর বলেন, বিধবা মনোয়ারা বেগম খুব কষ্ট জীবনযাপন করছিলেন। আমি তার বাড়িতে গিয়ে এক মাসের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে এসেছি।

সহায়তা পেয়ে বিধবা মনোয়ারা বেগম বলেন, ডিসি স্যার আমাকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলেন। আমি স্যারের কাছে আজীবন ঋণী হয়ে থাকবো। জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।

হাসিব আল আমিন/আরএআর