আইজ পেট ভইরা ভাত খামু
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্য সহায়তা পেয়েছে দেড় হাজার নিম্নআয়ের মানুষ
লকডাউনে কয়েকদিন না খাইয়া ছিলাম। কাইল হুনছি আমাগো খাওন দেবে। আইজ সত্যিই পাইলাম। মনডা ভইরা গ্যাছে। যাই হোক এই কয়ডা দিন খাওন নিয়ে চিন্তা করতে হইব না। মাইয়া-পোলাগুলারে অন্তত কয়ডা চাউল জ্বাল দিয়া দিতে পারমু। কথাগুলো বলছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুনিরুজ্জামান। পেশায় ভাড়ায় রিকশাচালক।
আরেক শ্রমিক ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন। তিনি বলেন, গত বছর তাও কিছু মানষে খাওন দিছিল। এ বছর দয়ালু সব গেছে। আইজ দুগ্গা চাউল পাইলাম, লগে আরো অনেক কিছু। আইজ পেট ভইরা দুগ্গা ভাত খামু।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল নগরীর বান্দ রোড শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের সামনে কথা হয় এই দুই শ্রমিকের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্য সহায়তা নিতে এসেছিলেন এদের মতো দেড় হাজার নিম্নআয়ের মানুষ। সবার চোখেমুখে ছিল স্বস্তির ছাপ।
উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীম।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব শ্রেণিপেশার মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা মহামারিতে দেশের কেউ না খেয়ে থাকেনি। এখন আমাদের সবার উচিত হবে; স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকে প্রতিহত করা। তিনি সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ জানান।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, বরিশালের পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের উপপরিচালক সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজিব আহমেদ, প্রশান্ত কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ ও বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ১৮টি ক্যাটাগরিতে বরিশালের দেড় হাজার মানুষের প্রত্যেককে আট কেজি চাল, এক কেজি ডাল, দুই কেজি আলু, তেল, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, দুই প্যাকেট সেমাই দেওয়া হয়েছে। এর আগে আরেক দফায় এক হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএম