খুলনায় করোনায় আক্রান্ত ৩২ হাজার, মৃত্যু ৫৯০
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯০-তে। করোনায় মৃত ও আক্রান্তের দিক থেকে বিভাগে শীর্ষে রয়েছে খুলনা জেলা আর সবনিম্নে মেহেরপুর। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান করে চলাচল এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ১৫ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯০-তে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ হাজার ৩৪৭ জন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৩৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮ হজার ২৮৬ জন।
এ ছাড়া বাগেরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪২১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৩২৪ জন। সাতক্ষীরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩০৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ২২২ জন।
বিজ্ঞাপন
যশোরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৯৭ জন। মারা গেছেন ৭৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ হজার জন। নড়াইলে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩০ জন। মারা গেছেন ২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৭৫৮ জন।
মাগুরায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৩৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ১৪৯ জন। ঝিনাইদহে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৯৭ জন। মারা গেছেন ৫৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হজার ৫৭৬ জন।
কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৮৬ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হজার ৪৬৫ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮৮ জন। মারা গেছেন ৫২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হজার ৭৬৮ জন।
সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৯৯ জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, খুলনা ও যশোরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। পজিটিভ রোগিকে আইসোলেশন করে রাখা এবং তার সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ব্যক্তিদেরও আইসোলেশন করে রাখতে পারলে সংক্রমণ ছড়াবে না। আর এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে চলেছে। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলা করেই জীবন চালাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনোভাবেই চলাচল করা যাবে না।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
মোহাম্মদ মিলন/এনএ