সড়কে দূরপাল্লার পরিবহন, ঘরমুখো মানুষের স্বস্তি
ঈদের ছুটির আগে সাভারের বেশিরভাগ কারখানার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই সুবাদে গত দুই দিন ধরে ট্রাক-পিকআপে করে বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি ফিরেছে। যারা বাড়ি যেতে পারেননি তাদের জন্য সাভারে নেমেছে দূরপাল্লার গণপরিবহন। এখন স্বস্তিতে ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামে ফিরছে মানুষ।
বুধবার (১২ মে) সকালে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বেশি থাকলেও দুপুরের মধ্যে তা কমেছে অর্ধেক। এ কারণে সড়কে তেমন যানজট নেই। দুপুরে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর-ইপিজেড মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কগুলোতে দূরপাল্লার পরিবহন নামলেও চাপ নেই পরিবহনের। প্রায় সকল সড়কই যানজটমুক্ত।
বিজ্ঞাপন
তবে ঢাকামুখী লেনের বাড়ইপাড়া, জিরানীবাজার, শ্রীপুর স্ট্যান্ডে থমকে থাকতে দেখা গেছে পরিবহনের চাকা। এদিকে টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের ছয়তলা থেকে বাইপাইল উভয় লেনে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এ ছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক একেবারেই ফাঁকা।
বিজ্ঞাপন
পোশাকশ্রমিক রাজু আহমেদ ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে যাবেন পাবনা। তার কারখানা আজই ছুটি হয়েছে। সড়কে এসে তিনি পেয়েছেন দূরপাল্লার বাস। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ভাবতেই পারিনি দূরপাল্লার বাস পাব। ভাড়া বেশি হলেও বাস তো পেয়েছি। মায়ের আবদারে বাড়ি যেতে হচ্ছে। আজকের যাত্রায় মনে হয় ভোগান্তি কম হবে।
অপর শ্রমিক বাকের বলেন, আমি গতকাল ট্রাকেও যেতে পারিনি। কাল বাসায় ফিরে গিয়েছিলাম। আজ পরিবার নিয়ে এসে দেখি রাস্তা ফাঁকা। সহজেই গাড়িতে ওঠে রওনা হলাম। যানজটও নেই রাস্তায়। শেষ সময়ের যাত্রা ভালোই হলো।
দূরপাল্লার পরিবহন এসআই ট্রাভেলসের চালক মানিক বলেন, আজ যাত্রীর চাপ কম। গাড়িও কম সড়কে। আমরা তো শেষ সময়ে গাড়ি নামিয়েছি। সব যাত্রী নিয়ে গেছে ট্রাকে। আমার রিযিক ছিল না। মেনে নিয়েছি। তবে এখনো যাত্রী পাচ্ছি।
বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বলেন, শিল্পাঞ্চল সাভারের বেশির ভাগ কারখানায় শুক্রবার বন্ধের সময় দায়িত্ব পালন করে ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। অনেকে ১০ দিন ছুটি পেয়েছে। তারা আগেই বাড়ি ফিরেছে।
তবে বিকেলে কিছু সংখ্যক কারখানা ছুটি হতে পারে। তাই বিকেলে ঘুরমুখো মানুষের চাপ একটু বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার সব কারখানা ছুটি হবে। বৃহস্পতিবার সবাই ঘরে ফেরার চেষ্টা করবে। তবে আমরা শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে এখনো কর্মস্থলে থেকে ঈদ উদযাপনের পরামর্শ দিচ্ছি। একই সঙ্গে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের জানাচ্ছি। জোর করে কাউকেই আটকানো সম্ভব নয়।
সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ করিম বলেন, বর্তমানে মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই। তবে দূরপাল্লার পরিবহন চেকপোস্ট বসিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এ রকম পরিবহন দেখলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।
মাহিদুল মাহিদ/এসপি