বন্ধুত্ব করে মোটরসাইকেল চুরি, অতঃপর...
চারটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ। বুধবার (১২ মে) সকালে মহিপুর থানা ও সদর থানায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- হালিম মুন্সি, বাচ্চু, আল আমিন, হালিম মুন্সির স্ত্রী কারিমা, আল আমিন (২), রাসেল ওরফে দুলু।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুকিত হাসান বলেন, দীর্ঘদিন আগে বরিশাল গৌরনদী এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুনের সঙ্গে বরিশালে বসে কুয়াকাটার প্রতারক রাকিবের বন্ধুত্ব হয়। রাকিব ৯ মে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসার কথা বলে হুমায়ুনকে শহরের ছোট চৌরাস্তার হালিম মুন্সির বাসায় নিয়ে আসে। পরে রাকিব ওই বাসায় হুমায়ুনকে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এ নিয়ে হুমায়ুন সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। হুমায়ুনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে সদর থানা ও মহিপুর থানায় পৃথক এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে চৌরাস্তার হালিম মুন্সির বাসা থেকে হুমায়ুনের মোটরসাইকেলটি (বরিশাল মেট্রো ল-১১-৫৫৬৫) উদ্ধার করা হয়। হালিমের বাসা থেকে বৈধ কাগজবিহীন আরও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় হালিম মুন্সি, বাচ্চু, আল আমিন, হালিম মুন্সির স্ত্রী কারিমাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, রাকিবের বাড়ি মহিপুর থানার গঙ্গামতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও দুটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আল আমিন ও রাসেল ওরফে দুলুকে গ্রেফতার করে মহিপুর থানা পুলিশ। চোর চক্রের ১০ জন সদস্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান বলেন, গ্রেফতার রাকিবের রেকর্ড খারাপ। হালিমেরও খারাপ। তারা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা এক এক স্থানে দুই-এক মাস বাসা রেখে এই চুরির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পূর্বে কোনো মামলা রয়েছে কি না ও তাদের সঙ্গে আর কে কে জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পটুয়াখালী সদর থানার মামলা নাম্বার ১৬ (৫) ২১।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এসএসএইচ