রামগঞ্জে ফুটবল খেলা চলাকালে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ফুটবল খেলার ফাইনাল ম্যাচে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ডননদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে, সংঘর্ষের চিত্র ধারণ করতে গেলে উত্তেজিত জনতা সংবাদকর্মী কাউছার হোসেনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৩০ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে ডোননদী দিগন্ত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ডোননদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়। রোববার বিকেলে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় নোয়াগাঁও সমাজ কল্যাণ ক্রীড়া সংঘ ও ডোননদী ক্রীড়া সংঘ অংশগ্রহণ করে।

খেলা চলার এক পর্যায়ে পরিচালনাকারীদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে দু'পক্ষের খেলোয়াড়দের মাঝে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে ডোননদী দিগন্ত ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে নোয়াগাঁও ক্রীড়া সংঘের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  

অন্যদিকে, খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে সংঘর্ষকারীরা দৈনিক ভোরের কাগজের রামগঞ্জ প্রতিনিধি কাউছারের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে। 

নোয়াগাঁও সমাজ কল্যাণ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি ও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ বলেন, খেলায় তারা একটি কর্ণার ও বিপক্ষ দলের অফসাইট হয় কিন্তু রেফারি তা দেননি। এ নিয়ে মাঠের বাইরে দর্শকদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার দলের খেলোয়াররা আবেদন করেও ব্যর্থ হন। এর মধ্যেই টুর্নামেন্ট কমিটির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তার খেলোয়ার ও গ্রামবাসীর ওপর হামলা করে। এতে তার এলাকার ১১ জন আহত হয়। 

তবে এ ঘটনায় টুর্নামেন্ট পরিচালনাকারী ডোননদী দিগন্ত ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোতালেব মাস্টারের মুঠোফোনে একাধিকাবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে সাংবাদিককে মারধর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

এসপি