ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলীর (৬০) চাতালের গুদামঘর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এর আগে একটি মাহিন্দ্র ট্রলিতে আরও ২০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন একজন। তবে ওই আওয়ামী লীগ নেতা পলাতক রয়েছেন।

রোববার (১৬ মে) রাতে উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের পশ্চিম আটঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে চালগুলো উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের এসআই ও মামলার বাদী রবিউল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃত আবুল কালাম (৩৬) হরিপুর উপজেলার জামুন গ্রামের আবু হানিফের ছেলে। ইদ্রিস আলী (৬০) হরিপুরের গেদুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন সরকারি খাদ্যবান্ধন কর্মসূচির চালের ডিলার।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধারের ঘটনায় এসআই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে হরিপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় হরিপুরের গেদুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস আলী (৬০), রেজাবুল (৩৫), কুরবান আলী (৩৬) ও আবুল কালামের (৩৬) নাম উল্লেখ করা হয় ও অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

মামলার বরাত দিয়ে এসআই জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে হরিপুর উপজেলার আটঘরিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি মাহিন্দ্র ট্রলি থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই ট্রলিসহ চালক মিজানুরকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হরিপুরের জামুন গ্রামে অভিযান চালিয়ে আবুল কালাম নামের এক চাল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় আবুল কালামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিম আটঘরিয়া গ্রামে ইদ্রিস আলীর চাতালের গোডাউন তল্লাশি করে আরও ৪০ বস্তা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধার করা হয়।

ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাব্বেরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা করা হয়েছে। আমরা এটি তদন্ত করছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে অভিযুক্ত ইদ্রিস আলী ও অন্য অভিযুক্তদের একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইদ্রিস আলী গেদুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শুনেছি তার বিরুদ্ধে সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. নাহিদ রেজা/এনএ/ওএফ